সোয়েব সাঈদ ,রামু :
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ, একুশে পদকে ভুষিত, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেছেন, রামুর উসাই ছেন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার (বড় ক্যাং) এর অধ্যক্ষ উ.পাঞঞাদীপা মহাথের ছিলেন একজন পরোপকারি বৌদ্ধ ভিক্ষু। তাঁর মনে কোন হিংসা, বিদ্বেষ ছিলোনা। তিনি বহুজনের হিতের জন্য, বহু জনের সুখের জন্য সার্বক্ষনিক কাজ করেছেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উ.পাঞঞাদীপা মহাথের সকলকে ভালবাসতেন এবং সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি রামু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অনন্য ভুমিকা পালন করে গেছেন। তাঁর প্রয়ানে শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায় নয়, রামুবাসির অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। অন্ত্যেষ্ঠিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচারাধির মাধ্যমে তাঁকে পূণ্যদান করে আমরা তাঁর উর্দ্ধগতি কামনা করি। বৃহষ্পতিবার (১০মে) সকালে দু’দিন ব্যাপী উ.পাঞঞাদীপা মহাথের’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন।
কক্সবাজারের রামু হাইটুপী উসাই ছেন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার (বড় ক্যাং) প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দুইদিন ব্যাপী আয়োজনের মহতী ধর্মসভায় প্রধান জ্ঞাতি হিসেবে ধর্মদেশনা করেন রামু দক্ষিন মিঠাছড়ি পানেরছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুচারিত মহাথের। ধর্মসভায় নাইক্ষ্যংছড়ির বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় গুরু উ. আছাবা মহাথের, ভারতের বম্বের অজান্তা বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ধর্মরতœ মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহরের আবাসিক প্রধান প্রিয়রতœ মহাথের ধর্মদেশনা করেন। এতে রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও ভূবন শান্তি একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মুর্তি’র প্রতিষ্ঠাতা করুনাশ্রী থের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক শীলপ্রিয় থেরসহ শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু-শ্রামন উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মসভা শেষে পঞ্চশীল গ্রহন, উৎসর্গ, ভদন্ত উ.পাঞঞাদীপা মহাথের’র শবদেহ চেং ক্যাং থেকে স্থানান্তর, দোলনা, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান, ও আলং নৃত্যের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১১মে) সকালে দোলনা, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন, আলং নৃত্য পরিবেশন, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান, দুুপুর ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত আলং নৃত্য পরিবেশন, বিকাল ৪ টায় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়াত ভদন্ত উ.পাঞঞাদীপা মহাথের’র শবদেহে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে দু’দিন ব্যাপী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।